
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর হাতে আটক দুই বাংলাদেশী কৃষককে ফিরিয়ে এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। একইসঙ্গে বিজিবি তাদের হাতে আটক দুই ভারতীয় নাগরিককেও ফেরত পাঠিয়েছে।
আজ শুক্রবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ধর্মজৈন বিওপি ক্যাম্পের মল্লিকপুর কারুলিয়াপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
‘টিকটকের ভিডিও’ বানাতে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়ায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওই দু’জনকে আটক করে বলে জানা যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তবর্তী ধবলসূতি বিওপি এলাকা (মেইন পিলার ৮২৫/১-এস) সংলগ্ন ভারতীয় একটি চা বাগান থেকে তারা আটক হয়।
দুই বাংলাদেশী ভারতের সীমানার ২০ থেকে ২৫ গজ ভেতরে ঢুকে ‘ভিডিও ধারণ’ করছিলেন বলে বিজিবি রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।
আটক হওয়া দু’জনের একজন পাটগ্রাম উপজেলার স্কুলপড়ুয়া। আরেকজন ২২ বছর বয়সী সাজেদুল ইসলাম যিনি বগুড়া থেকে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।
2 comments
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যে দুই দেশের মধ্যে এই ধরনের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি দেখায় যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তবে, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে যে কেন এই দুই কৃষক সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য কি শুধুই ভিডিও বানানো ছিল, নাকি অন্য কোন কারণ ছিল? এটা কি সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে? আমার মনে হয়, এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ করে দিতে পারে। আপনি কি মনে করেন এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বিজিবির মধ্যে এই ধরনের পতাকা বৈঠক নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি দেখায় যে উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য প্রস্তুত। তবে, এই ঘটনাটি সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেন এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে? সীমান্ত এলাকায় আরও বেশি সচেতনতা এবং নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে হয়। এছাড়াও, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য কী ছিল? তারা কি সত্যিই শুধু ভিডিও বানানোর জন্য সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা জরুরি। আপনি কি মনে করেন এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?